রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
![]() |
| স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীফাইল ছবি |
রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তার পাশে তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এই তেল দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অঘটন ঘটিয়ে ফেলে।
বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুনের ঘটনার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন কথা বললেন।
ট্রাইব্যুনাল, মেট্রোরেল ও রেলওয়েতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কেপিআই স্থাপনায় (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এসব আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গোয়েন্দাদের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বড় ধরনের কোনো মিছিল হচ্ছে না। বাসে আগুন ও কয়েকটা জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এগুলো যাতে আর ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৩ নভেম্বর সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে আছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য তাঁরা জনগণকে অনুরোধ করছেন। সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীরা যেন সহজে জামিন না পায়, সে জন্য তাঁরা যাঁরা জামিন দেন, তাঁদের অনুরোধ করছেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সাড়ে ৫ লাখ আনসার, দেড় লাখ পুলিশ, এক লাখ সেনাবাহিনী, ৩৫ হাজার বিজিবি ও ৪ হাজারের মতো কোস্টগার্ড সদস্য নির্বাচনে মোতায়েন থাকবেন।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান বেগবান করা হবে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কিছু কিছু (অস্ত্র) রয়ে গেছে বাইরে। এগুলো যেন তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা যায়, সে চেষ্টা চলছে।
মিয়ানমার থেকে মাদক আসা কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক না বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গ্রামেগঞ্জে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক নির্মূলে সবার দায়িত্ব নিতে হবে।
প্রকাশ্যে গুলির দুটি ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি ঘটনা সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো সন্ত্রাসী বাইরে থেকে দেশে ঢুকতে না পারে।

মন্তব্যসমূহ