গাজায় পৌঁছানোর পথে মানবিক বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা,ইসরায়েল জারি করল নতুন হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলি প্রশাসন গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা (GSF) কে লক্ষ্য করে নতুন হুঁশিয়ারি জারি করেছে। গাজার দরিদ্র ও যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা (GSF) এই মুহূর্তে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ইসরায়েল এই মানবিক বহরের বিরুদ্ধে নতুন হুঁশিয়ারি জারি করেছে, সম্ভাব্য সামরিক অভিযান এবং জাহাজ জব্দের কথাও বলেছে। সহায়তা বহনকারী এই নৌকাগুলো গাজার ১৯ বছর ধরে চলা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলের নৌবাহিনী সম্প্রতি প্রশিক্ষণ শেষ করার পর ফ্লোটিলার দিকে সম্ভাব্য সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বহরটি গাজার জলসীমায় পৌঁছানোর আশা করছে।
একটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ফ্লোটিলার সংগঠকদের মানবিক সাহায্য বিকল্প বন্দরের মাধ্যমে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল “অ্যাশকেলন”, তবে তারা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে “সাংগঠনিক উসকানি” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ইতিমধ্যে, ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সংঘর্ষে আহতদের জন্য হাসপাতালগুলোতে সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে।
ফ্লোটিলার সঙ্গে সম্ভাব্য ইসরায়েলি অভিযান পূর্বে ঘটে যাওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌকা “মেডেলিন” এবং “হানজালা”-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এই জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক জলে ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছিল।
“প্রতিরোধের নৌবহর” নামে পরিচিত এই ফ্লোটিলায় প্রায় ৫০টি ছোট নৌকা রয়েছে, যা গ্রিস থেকে ছাড়িয়েছে। এটি গাজার অবরোধ ভাঙার সবচেয়ে বড় যৌথ প্রচেষ্টা। ৪০টি দেশের ৫০০-এর বেশি স্বেচ্ছাসেবী এই বহরে অংশ নিয়েছেন। তারা চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সাহায্য বহন করছেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য লড়াই করছে।
গত সপ্তাহে ফ্লোটিলা জানিয়েছে, এর নয়টি জাহাজ ইসরায়েলি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে এবং কয়েকটি জাহাজে সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বহরের অগ্রগতি, মানুষের সাহায্যের চেষ্টার সঙ্গে ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। গাজার মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এই মানবিক অভিযান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প আরও দৃঢ় করেছে।

মন্তব্যসমূহ